হকার বসানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পিপিকে পেটানোর অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে
যশোরে ফুটপাতে হকার বসানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক পাবলিক প্রসিকিউটরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে। রোববার (৯ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কসবা পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে ঘটনাটি ঘটলেও সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক। মারধরের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী আইনজীবী যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতার প্রকাশ্যে পাবলিক প্রসিকিউটরকে মারধরের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে। আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষেরা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে সমালোচনা করছেন। মারধরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের কর্মসূচি দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, আইনজীবী সমিতির (২য় ভবন) সামনের ফুটপথে কিছু ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী টেবিল পেতে কাপড় বিক্রি করেন। সেখানে এক ব্যবসায়ীকে জোর করে উঠিয়ে, অন্য একজনকে বসায় শাহীন নামে এক ব্যক্তি।
এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নির্দেশে তিনি এ টেবিল বসিয়েছেন। এটা কেউ উঠালে তার হাত কেটে নেওয়া হবে।’
এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। এরপর এসআই হেলাল মীমাংসার জন্য শাহীনসহ অন্য ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠান। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা ও পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকেও ফাঁড়িতে ডেকে নেন। কিন্তু হঠাৎ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন একদল যুবক নিয়ে ফাঁড়িতে আসেন। তিনি মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ‘ধান্দাবাজি করিস’ উল্লেখ করে মারপিট শুরু করেন।
মুকুল আরও জানান, লজ্জা, ঘৃণায় তিনি কাউকে কিছু না বলে বাড়ি চলে যান। কিন্তু মানুষজন ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে যায়। এরপর সোমবার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের অবহিত করেন।